ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দুনিয়াবী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ‘আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত’, ‘জনকল্যানমূলক সংস্থ্যা’ ইত্যাদি দাবি করে প্রতারণা মূলকভাবে দান, ছদকা, যাকাত, কুরবানীর চামড়া চেয়ে থাকে; তাদের সম্পর্কে জেনে সতর্ক থাকতে হবে। এরা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সমাজে ব্যবসা করে যাচ্ছে, মানুষের দান ছদকা নিয়ে নানা হারাম ও কুফরী কাজে, অমুসলিমদের সহায়তার কাজে ব্যবহার করছে।
যেমন এখানে দুইটি প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দেয়া হল
১) আনজুমান মুফিদুল ইসলাম:
এই প্রতিষ্ঠানটি কথিত ফ্রি লাশ পরিবহন, ফ্রি দাফন সেবার নামে দেশ থেকে যেমন যাকাত,ফিৎরা, দান, ছদকা বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে তেমনি বিদেশ থেকেও বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ডোনেশন সংগ্রহ করছে। এই পদ্ধতিতে বর্তমানে এটি বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
১) বিধর্মীদের সহায়তা করেঃ শুধু মুসলমান নয়, র্বতমানে সকল র্ধমরে মানুষ এই সংস্থার সবো পযে়ে থাকে। (http://bn.wikipedia.org/wiki/আঞ্জুমান_মুফিদুল_ইসলাম-ঢাকা )
২) আনজুমানে মফদিুল ইসলামরে অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দশ্যে হচ্ছে র্ধম, র্বন, গোত্র নর্বিশিষেে দুঃস্থ ব্যক্তদিরেকে বনিামূল্যে চকিৎিসা সবো প্রদান। (http://goo.gl/IXv9cJ) সকল বর্ধিমী হছে মুসলমানদরে শত্রু। তাহলে মুসলমানদরে কাছ থেকে যাকাত, ফিতরা, দান, সদকা, কুরবানীর চামড়ার টাকা সংগ্রহ করে সইে টাকা দয়িে মুসলমানদরে শত্রুদরে সহযোগতিা করা কি গ্রহণযোগ্য কোনো বিষয়?
৩) আনজুমান মফিদুল থেকে লাশ সিদ্ধ করে হাড় বিক্রি....(https://goo.gl/7iB7Px)
লাশ থেকে গোশত আলাদা করতে চুক্তি হয় = ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার/৯০ হাজার টাকা।
লাশগুলো গার্ডিয়ানরা দেখতে আসলে রিসিপ্ট দেখিয়ে দেয়া হয়। যেখানে লাশের উল্লেখ থাকেনা। কারণ লাশগুলো আগেই বিক্রি হয়ে যায়।
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ : লাশকাটাঘর, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ: ৭টি লাশ নেয়া হয় জুরাইন কবরস্থানে। জানাযা-দাফনের পর যিনি দাফন করেছেন তার বক্তব্য হলো- লাশের সংখ্যা ৩টি। ১ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষের।
দুই মাস পর ২০ মার্চ- লাশকাটাঘর, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ: ডোমকে জিজ্ঞাসা করা হলে- ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ তে কয়টি লাশ মফিদুলকে দেয়া হয়, কাউন্টারে রশিদ বইয়ে উল্লেখ অনুযায়ী মোট ১৩টি। অর্থাৎ ৩টি কবর দিয়ে বাকি ১০টির গোশত আলাদা করে হাড্ডিগুলো পাচার করা হয়। নাউযুবিল্লাহ!
২) কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন:
এটি সম্পূর্ণরুপে কাফির মুশরিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যম দিয়ে অর্থ সংস্থান করে হারাম ও কুফরী কাজে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করে। তারা মানুষের মগজ ধোলাই করে শুধু পয়শাই আদায় করে না, ফ্রি রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের দেয়া রক্ত বিক্রি করেও পয়শা সংগ্রহ করে ব্যবসা করে।বর্তমান সমাজে কোয়ান্টাম এক কুফরী মতবাদ। কেউ কোথাও দেখাতে পারবে কি কোয়ান্টাম নামে কোন শব্দ পবিত্র কুরআন –পবিত্র হাদীস শরীফে আছে ? অথচ এই হারামে পরিপুর্ন কোয়ান্টাম আজ ইসলাম উনার নাম ভাংগিয়ে ফায়দা হাসিল করছে।
১. এই কোয়ান্টামের যে প্রধান তাকে তারা গুরুজি (গরুজি) বলে ডাকে । গুরুজি শব্দ হিন্দু, বোদ্ধরা ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ তার নাম দিয়েই বুঝা যায় সে কিসের অনুসারী । (http://tinyurl.com/pxmtcv7)
২. এই গরুর সারা শরিরে সুন্নতের লেশমাত্র নাই । তারে দেখলে মনে হয়না মুসলমান। মেডিটেশনের নাম দিয়ে হরহামেশা বেপর্দা হয়, নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে (নাউযুবিল্লাহ)। (http://quantummethod.org.bd/eid-molakat)
৩. তারা নাকি মেডিটেশনের নামে শান্তি খুজে (নাউযুবিল্লাহ)? অথচ আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন” সাবধান! নিশ্চয় যিকিরের মাধ্যমে অন্তর প্রশান্তি লাভ করে” । তাহলে এরা যিকির না করে কিসের শান্তি তালাশ করে ? এরা ইবলিশি শান্তি তালাশ করে।
৪. বান্দরবানের লামায় তারা কোয়ান্টাম কসমো স্কুল খুলেছে। এখন এখানে রয়েছে ১৬ টি জাতিগোষ্ঠীর ৫ শত শিশু। মুসলিম ছাড়াও হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রামা, খ্রিষ্টান এবং প্রকৃতিপূজারী সহ সকল ইসলামবিদ্বেষিরা মুসলমানের যাকাতের টাকায় তরুতাজা হচ্ছে। এরাই বড় হয়ে জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে । (http://quantummethod.org.bd/node/1146)
৫. যে ‘শিশু কানন’ মুসলমানের যাকাতের টাকায় খুলেছে তার সভাপতি ,সহসভাপতি অমুসলিম । (http://quantummethod.org.bd/node/1615)
৬.তারা ইয়াতীমদের সাহায্যের নাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা কুরাবনীর চামড়া ও যাকাতের টাকা আদায় করছে । অথচ যাকাতের ৮ টি খাতের মধ্যে কোন খাতেই আওতায় এরা আসেনা। তারা যাকাতের যে ৮ টি খাত উল্লেখ করেছে (ভুল অর্থ দিয়ে) তার মধ্যেও এই কুফরি কোয়ান্টাম পড়েনা। এরা যাকাতের টাকা মুসলমানের পিছনে করছে না করে করে কাফিরদের জন্য। (http://zakat.qm.org.bd)
৭.মুসলমানের জন্য আফসোস যে কোয়ান্টাম হারাম খাতে যাকাত ব্যয় করার কথা জেনেও গতবছর প্রায় ৬ কোটি টাকা যাকাত দিয়েছে । নাউযুবিল্লাহ (http://zakat.qm.org.bd)
প্রশ্ন আসতে পারে এ টাকা তারা করে কি ? তারা মুসলমানের টাকা উঠিয়ে এ টাকা পাহাড়ে সন্ত্রাসী বোদ্ধদের পিছনে খরছ করছে ,ইসলাম ধ্বংসের কাজে খরছ করছে, বাকি টাকা আত্বসাত করে মউজ-মাস্তি করছে।
মুসলমানের আকল সমঝ নষ্ট হয়ে গিয়েছে । যার কারনে প্রকাশ্যে কুফরি ও শরিয়ত খিলাপ কাজ করার পরেও মুসলমান নামধারী জাহিলেরা কুফরী মতবাদ কোয়ান্টামে যাকাত প্রদান করছে !!