যাকাত না দিলে কি হয়

যাকাত না দিলে কি হয় এই সংক্রান্ত মুল্যবান নছীহত

যাকাত বন্ধ করলে যমীনে পানিতে মাল-সম্পদ নষ্ট হয়। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম বর্ণনা করেন-
قَالَ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "مَا تَلَفَ مَالٌ فِـىْ بَرٍّ وَلَا بَحْرٍ اِلَّا بِحَبْسِ الزَّكَاةِ". (رواه الطبرانى فى الـمعجم الأوسط)
“নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, স্থলে এবং পানিতে যেখানেই কোন সম্পদ ধ্বংস হয়, তা হয় কেবল যাকাত আদায় না করার কারণে।” (পবিত্র তবারানী শরীফ)
যাকাত মিশ্রিত করলে সমস্ত মাল-সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়: “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
عَنْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ صِدِّيْقَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ سَـمِعْتُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَا خَالَطَتِ الزَّكٰوةُ مَالًا قَطُّ اِلَّا أهَلَكَتْهُ.
অর্থ : আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, যে মালে যাকাত মিশবে নিশ্চয়ই তাকে ধ্বংস করে দিবে। (বুখারী শরীফ)

যাকাত-ফিতরা, উশর না দিলে সমস্ত মাল-সম্পদে হারাম মিশ্রিত হয়ে যায়। খাওয়া-খাদ্য হারাম হয়ে যায়।
যেমন: ১ গ্লাস পানিতে ১ ফোটা নাপাক পড়লে সমস্ত পানি নাপাক হয়ে যায়।
وَالْـحُمَيْدِيُّ وَزَادَ قَالَ يَكُوْنُ قَدْ وَجَبَ عَلَيْكَ صَدَقَةٌ فَلَا تَـخْرُجُهَا فَيَهْلِكُ الْـحَرَامُ اَلْـحَلَالَ.
ইমাম হুমায়দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে মালে যাকাত দেয়া হয়নি অথচ সে মালের যাকাত ফরয ছিল তা অন্য মালের সাথে সংমিশ্রন করলে উভয় মালই ধ্বংস হবে।”(মিশকাত শরীফ)
ইবাদত-দোয়া কবুল হয়না:
পবিত্র হাদীছ শরীফ- “যে ব্যক্তি পবিত্র যাকাত প্রদান করে না, তার নামায কবুল হয় না।” (আততারগীব ওয়াত তারহীব, তাফসীরে কুরতবী, রুহুল মায়ানী, তাফসীরে খযীন ও বাগবী শরীফ)।
জাহান্নামী হতে হয়:
لاَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ جَسَدُ غُذِىَ باِلْـحَرَامُ
অর্থ : “ওই দেহ বা শরীর বেহেশতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম খাদ্য দ্বারা গঠিত।” (শুআবুল ঈমান মিশকাত শরীফ)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُمِرْتُ اَنْ اُقَاتِلَ النَّاسَ حَتّٰى يَشْهَدُوْا اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُـحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوا الزَّكٰوةَ.
“মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আমি আদিষ্ট হয়েছি, ঐ সমস্ত মানুষের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করার জন্য, তাদেরকে কতল করে দেয়ার জন্য, যারা এটা স্বাক্ষ্য দিবেনা যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি একমাত্র ইলাহ এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার হাবীব এবং রসূল; এবং নামায কায়িম করবে না; এবং যাকাত আদায় করবে না।” (মিশকাত শরীফ)
ফলে যাকাত থেকে গাফিল ব্যক্তি, দুনিয়া ও আখিরাতে পরিপূর্ণ হালাক হয়ে যাবে।